প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিক্ষোভ করলেই সরকারের পক্ষে দাবি পূরণ সম্ভব নয়। কারণ সরকার পরিকল্পনা এবং বাজেট ছাড়া দাবি পূরণ করতে পারে না। দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি অংশের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আজ একথা বলেন। খবর: বাসস। রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহস্রাধিক কলেজ অধ্যক্ষের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘শিক্ষা সমাবেশে’ প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের শেষ বছরে এসে কেউ যদি মনে করেন সরকারের এটা শেষ বছর, কাজেই দাবি করলেই আমরা সব শুনে ফেলব- সেটা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের একটা বাজেট দিয়ে পরিকল্পিতভাবে চলতে হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোথায় কোথায় সরকারিকরণ করতে হবে, কোন নীতিমালার ভিত্তিতে করতে হবে, সেটাওতো একটা নীতিমালার ভিত্তিতেই হতে হবে। যখন-তখন যে কেউ দাবি করলে সেটাতো পূরণ করা সম্ভব নয়। সেটা সবাইকে অনুধাবন করতে হবে।’
এ সময় দেশের সম্পদের সীমাবন্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘দিলেই আরও দাও আরও দাও করলে, আমরা দিতে অপারগ হব। কারণ আমাদের একটা বাজেট দিয়ে পরিকল্পিতভাবে চলতে হয়।’
ক্ষমতায় থাকার জন্যই কেবল রাজনীতি করেন না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকতাকে একটি মহৎ পেশা, শিক্ষকদের হাতেই রয়েছে জাতির ভবিষ্যৎ।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের কাছে আমি এটুকুই চাই আপনারা কতটুকু দিতে পারলেন, করতে পারলেন। কি ধরনের শিক্ষাটা আপনারা দিয়ে যেতে পারলেন যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, দেশকে আরো উন্নত করতে পারবে- সেটাই হচ্ছে বড় কথা।
শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসেইন অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিথির বক্তৃতা করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.হারুন-অর-রশীদ এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ভবন, প্রকল্প ও স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী কলেজ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান অর্জনকারী কলেজের অধ্যক্ষদের হাতে সন্মাননা স্মারক, পুরস্কারের চেক এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা দুটি বই অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজ নামচা তুলে দেন।
আজকের বাজার : সালি / ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮