কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ( ক্যাব) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, বিআরইসি বিদ্যুতের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে তা আমাদের দৃষ্টিতে আইনসম্মত হয়নি এবং অযৌক্তিক। যদি তাদের কাছে প্রতিকার না পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো গতি থাকবে না। তাই গণশুনানিতে আসা যৌক্তিক সুপারিশ সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে গ্রাহক পর্যায়ে আরোপিত বিদ্যুতের বাড়তি দাম ১০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে ক্যাব।
রোববার ৭ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে ‘অন্যায় ও অযৌক্তিক’ ব্যয় কমিয়ে বিদ্যুতের দর সম্বয়ের দাবি জানায় কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, সরকার ও বিইআরসির কাছে আমাদের আবেদন, অবিলম্বে মূল্যবৃদ্ধির আদেশ বাতিল করা হোক। এছাড়া ক্যাবের প্রস্তাব অনুযায়ী, মূল্য হ্রাস করা হোক। আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে যদি কোনো ব্যবস্থা সরকার না করে তাহলে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের গ্রাহক বেড়েছে। উৎপাদনও বেড়েছে। কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় ব্যক্তি রয়েছেন যারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের চাইতে সবাইকে বিদ্যুৎ দিতেই আগ্রহী বেশি।
তিনি বলেন, বিইআরসি গঠিত হয়েছে ভোক্তা ও উৎপাদকের স্বার্থরার জন্য। কিন্তু এখন তারা ভোক্তার স্বার্থ দেখছেন না। তিনি দ্রুত বিদ্যুতের দাম কমাতে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। ক্যাব বলছে, বিইআরসির গণশুনানিতে তারা দাম কমানো যে সম্ভব, তা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিল। ফলে এখন দাম বাড়ানোয় গণশুনানি অর্থহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিইআরসির জারি করা আদেশে অন্যায় ও অযৌক্তিক কারণ দেখানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম কমাতে ১৫ দফা সুপারিশ ও বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভোক্তাস্বার্থবিরোধী কার্যক্রম অনুসন্ধ্যানের জন্য ভোক্তা প্রতিনিধি নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
আজকের বাজার : এসএস / ওএফ/ ৭ জানুয়ারি ২০১৮।