আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) ১০ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে এক মাস অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছে মায়ানমার সরকার।
রাখাইনে সৃষ্ট মানবিক সংকট থেকে উত্তরণে ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে কাজ করার সুযোগ দিতে মায়ানমাররের সেনাবাহিনীর প্রতি অস্ত্র রাখার আহবান জানিয়েছে ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
এআরএসএ’র এই আহবানের জবাবে মায়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ তাই বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা করবেন না তারা।
গত ২৪ অাগস্ট রাতে একযোগে রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা করে এআরএসএ’র সদস্যরা। এরপর রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে বাংলাদেশ অভিমুখে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। এরইমধ্যে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, মায়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে। স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইনরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মিলে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
এই অভিযোগ নাকচ করে মায়ানমার সরকার বলছে, তাদের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূলে অভিযান চালাচ্ছে।
সরকারের ওই মুখপাত্র টুইটে বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমঝোতা করার কোনো ভাবনা আমাদের নেই।
মায়ানমার বলছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী এআরএসএ’কে প্রতিরোধ করতে ক্লিয়ারেন্স অভিযান পরিচালনা করছে। মায়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন সরকার এআরএসএ’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
আজকের বাজার: আরআর/ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭