বিনিয়োগের চমৎকার জায়গা বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য চমৎকার স্থান বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য চমৎকার স্থান। এখানে অনেক কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ঢাকার গুলশানে হোটেল আমরিতে এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশে সফররত সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ২১ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সাথে বিজনেস মিটিং-এ প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে মিটিং এ বক্তব্য রাখেন সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের দলনেতা সৌদিআরবের ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি গ্রুপ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোশাবাব আব্দুল্লা আলখাহতানি, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মশি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম. আমিনুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহীম।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সুবিধাজনক বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সৌদি বিনিয়োগকারীরা একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীরা এখন শতভাগ বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। কোন ধরনের বাধা ছাড়াই যে কোনো সময় লাভসহ বিনিয়োগের পুরো অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারেন। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে দ্বৈত শুল্কনীতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে উভয় দেশের বাণিজ্য ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে সীমাবন্ধ। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে এ বাণিজ্য অনেক বাড়ানো সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একসময় বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ছিল ৯০ভাগ বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। আজ নিজস্ব অর্থেই বৃহৎ বাজেট ঘোষণা করা হয়। নিজস্ব অর্থে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একসময় যারা বাংলাদেশকে বলতো- তলাবিহীন ঝুড়ি এবং বিশ্বের দরিদ্র দেশের রোল মডেল, আজ তারাই বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ শুধু পাট, চা ও চামড়াসহ মাত্র ২৫টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আজ সেই বাংলাদেশ সাড়ে সাত শত পণ্য বিশ্বের প্রায় সব দেশে রপ্তানি করে সার্ভিস সেক্টরসহ আয় করছে ৩৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন তৈরী পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা ও বাজার বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি দাড়াঁবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭