বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আলোচনা সভা ও গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শহীদ ডা. মিলন হলে‘সুস্থ কিডনি,সর্বত্র সবার জন্য-রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা সভা ও গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়,দেশে নতুনভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বছরে প্রায় ৩০ হাজার এবং ৪০থেকে ৫০ লাখ শিশু কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত।

অন্যদিকে শেষ পর্যায়ে থাকা রেনাল ডিজিজে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৪৭ ভাগ শিশু রোগীর ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হয়। কিন্তু সামাজিক,অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোগত প্রতিকুলতার কারণে মাত্র ১০ শতাংশ রোগী এই ধরণের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিএনএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মাঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেন,কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক প্রমুখ।

উপাচার্য বলেন,দ্রুত কিডনি রোগ সনাক্তকরণ ও সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে ক্রনিক কিডনি রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।এ রোগের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিরোধের দিকে বেশি গুরুত্ব এবং নীতি নির্ধারকদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। একই সাথে কিডনি রোগের যাথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ তৈরির উপর জোর দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএনএসবি)-এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে ‘শিশু কিডনি রোগের গুরুত্ব ব্যাপ্তি, চিকিৎসা ও প্রতিকার এবং শিশু কিডনি রোগের সীমাবদ্ধতা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে একনেক সভায় বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ১০শয্যা এবং মেডিক্যাল কলেজে ৫০শয্যা বিশিষ্ট ডায়ালাইসিস ইউনিট প্রকল্প পাশ হয়। এর ফলে অনেক কিডনি রোগী উপকৃত হবেন। এ প্রকল্পকে সফল করতে বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশন বদ্ধপরিকর। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি রোগের চিকিৎসার বিভিন্ন অগ্রগতি ও সাফল্যের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি হোম ডায়ালাইসিস নামে পরিচিত সিএপিডি বা ক্যাপড বা পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের প্রসার ঘটানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন। পরে,অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশন ৮ জন কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আজীবন সম্মাননা স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান