চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামণি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।।
বুধবার(২৩ মে) সকালে সাতক্ষীরার নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন মুক্তামণি।
শিশুটির বাবা জানান, ৬ মাস ধরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার পর গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরে। এরপর কিছুদিন মুক্তামণি ভালো থাকলেও তার অবস্থা আবারো খারাপের দিকে যায়। তার ডান হাতটি এখন আরো ফুলে গিয়েছিলো। অস্ত্রোপচারের স্থান থেকে রক্ত ঝরার পাশাপাশি বাসা বেঁধেছিল পোকা।। মেয়ের এমন দুর্দশা দেখে অসহায় ছিলেনবাবা-মা।
মুক্তামণির বাবা বলেন, 'ডাক্তারেরা বলেছিলেন, আমরা একমাস পরে ডেকে নেব। শীতের সময় ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বলেছিল তখন বার্ন ইউনিটে রোগীর চাপ। গরমে ডাকবে। এরকম করে ৪ মাস চলে গেল।'
মুক্তামণি সুস্থ হয়ে খেলাধূলা করবে, এই আশায় দিন গুনছিলো তার বাবা-মা।কিন্তু তা্ আর হলো না।
২০১৭ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামণির চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেন। এরপর ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হবার পর পরীক্ষায় ধরা পড়ে মুক্তামণির হাতটি রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত হয়েছে। তারপর কয়েক দফা চিকিৎসার পর তার হাতের অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড অপসারণ করা হয়।
আরজেড/