বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে জেরুজালেম

বিদায়ী ২০১৭ সালে গোটা বিশ্বকে আলোড়িত করেছে জেরুজালেম। গত ৬ নভেম্বর পবিত্র জেরুজালেম নগরীকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করেই বিশ্বজুড়ে সহিংসতার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করে দেন। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থাপনেরও ঘোষণা দেন। যা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়াকে অধিকতর হুমকির মুখে ঠেলে দেয়। রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কোটি কোটি মানুষ। জেরুজালেম ইস্যুতে ট্রাম্পের ঘোষণায় ফিলিস্তিসহ গোটা মুসলিম বিশ্ব বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এ ইস্যুতে জেরুজালেমে সংঘর্ষ বেড়েছে। এরইমধ্যে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ ক’জন ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক শতাধিক আহত হন। এ ঘোষণায় অখুশি খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীরাও। বড়দিনের অনুষ্ঠানে শান্তি কামনার পাশাপাশি জেরুজালেম ইস্যুতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনার আহবান জানিয়েছেন পোপ ফান্সিস।

ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে সমর্থন দেয়নি আন্তর্জাতিক মহল। মুসলিম দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি ঘোষণাটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে। এ ইস্যুতে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের দৌঁড়ঝাপ সবার নজড় কেড়েছে। জাতিসংঘেও তুরস্কের জোরালো ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। স্পষ্ট অবস্থান নেয় ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় দেশগুলো। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি ডিসেম্বরের শেষদিকে এসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ঘোষণাটি প্রত্যাহার করে নিতে হোয়াইট হাউসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ পরিষদ। রেকর্ড সংখ্যক দেশ এই ঘোষণার বিপক্ষে ভোট দিয়ে যেন মার্কিন মোড়লিপনার প্রতি প্রচন্ড এক চপেটাঘাত বসিয়ে দিল। এর মাধ্যমে জাতিসংঘে কার্যত ‘কোনঠাসা’ হয়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্র। ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ নিয়ে এ ভোটাভুটি হয়। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি বাতিলে প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেয় বিশ্বের ১২৮টি দেশ। আর বিপক্ষে ভোট দেয় মাত্র নয়টি দেশ। ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিল ৩৫টি দেশ। ট্রাম্পের হুমকিতে এসব দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ দেশ যে ট্রাম্পের হুমকিকে পাত্তা দেয় নি, তা স্পষ্ট।

এই ভোটাভুটির ফলে পবিত্র জেরুজালেম নগরীর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সিদ্ধান্ত ‘বাতিল ও অকার্যকর’ বলে বিবেচিত হবে। তা ছাড়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অবশ্যই বাতিল হতে হবে। ভোটাভুটির আগের দিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘের যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবে, সেসব দেশে অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ বা কাটছাঁট করে দেওয়া হবে।

এর আগে জেরুজালেম ইস্যুতে ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিশরের আনা এক প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে ব্যর্থ হওয়ার পর সাধারণ পরিষদ এই ভোটাভুটির উদ্যোগ নেয়। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির বিরোধিতা করে নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল মিশর। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪টি দেশ সেটির পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই বিপক্ষে ভোট দেয়। ফলে তা ভেস্তে যায়।

পবিত্র জেরুজালেম নগরীর অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি মুসলমান ও ইসরায়েলের ইহুদিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চায়। অন্যদিকে, ইসরায়েল পুরো জেরুজালেমকে তাদের ‘একক রাজধানী’ বলে বিবেচনা করে। একইসঙ্গে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক মহল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির দেয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিতর্কিত জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এই সিদ্ধান্ত কয়েক দশকের আমেরিকান নীতিকে বদলে দিয়েছে।

এদিকে, জেরাজালেম ইস্যুতে ট্রাম্পের ঘোষণা ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে ওয়াশিংটনের ভেটো দেওয়ার পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন- ভবিষ্যতে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মধ্যস্ততা মেনে নেওয়া হবে না। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আইএসের পতন: ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তির্ণ অঞ্চলের দখলের মাধ্যমে কয়েক বছর আগে নজর কাড়ে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ২০১৪ সালে ইরাকের মসুল দখল করে ২৯ জুন গ্র্যান্ড আল-নুরি মসজিদ থেকে খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনটির প্রধান নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। তিনি নিজেকে আইএসের খলিফা বলে দাবি করেন। তার আগের দুই-তিন বছর ধরে আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে উভয় দেশের অনেক শহর ও এলাকা নিজেদের খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত করে ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী রাষ্ট্রীয় সীমান্ত তুলে দিয়েছিল। তারা সিরিয়ার রাকা শহরকে তাদের রাজধানী ঘোষণা করে আর ইরাকের মসুলকে তারা বলত দ্বিতীয় রাজধানী। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে মসুল শহরটি আইএস মুক্ত করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাকি বাহিনী। ডিসেম্বরে এসে ‘ভয়ানক’ সেই আইএসকে পরাজিত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ইরাক সরকার। দেশটির প্রধান মন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি এ ঘোষণা দেন। রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়ার সৈন্যদের আক্রমণে সিরিয়াতেও আইএস দুর্বল হয়ে পালাতে বাধ্য হয়। নিহত হয় বহুসংখ্যক আইএস যোদ্ধা। মার্কিন জোটের হামলাতেও আইএসের একাংশ নিহত হয়।

কাতারের নিষেধাজ্ঞা: সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে কাতারের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অবরোধ আরোপ করে চারটি উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। দেশগুলো কাতারকে ১৩ দফা শর্ত দেয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে পরে তারা বলে কাতারকে অবশ্যই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ছয়টি মূল নীতিমালা মানতে হবে। তাদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে ছিল আলজাজিরা টিভি বন্ধ করা, ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমানো, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করা, তুরস্কের ঘাঁটি বন্ধ করা ইত্যাদি। কাতার বছরের শেষ সময় পর্যন্ত এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে চলেছে। অস্বীকার করে আসছে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগও। তাছাড়া তুরস্ক, ইরান ও জর্ডানের মতো দেশ পাশে দাঁড়ানোয় চলমান নিষেধাজ্ঞায় কাতারের তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অবরোধের শুরুতেই কাতারের সঙ্গে থাকা স্থলবন্দরগুলো বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব। দোহার সঙ্গে তাদের আকাশসীমা ও নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ওই চার দেশ। সৌদি জোটের দাবিগুলোকে ‘কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত’ অ্যাখ্যা দিয়ে দোহা বলছে, আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করতে আগ্রহী তারা।

মোহাম্মদ বিন সালমান: মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘ক্রাউন প্রিন্স’ ঘোষণা দিয়ে বছরের মাঝামাঝি; জুনে বিশ^বাসীর নজর কেড়েছিলেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ। এই যুবরাজকে পরবর্তী বাদশা করার পথ পরিষ্কার করতেই সিংহাসনের উত্তারাধিকারী মোহাম্মদ বিন নায়েফ আবদুল আজিজকে সরিয়ে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে মনে করা হয়। মোহাম্মদ বিন নায়েফ বাদশা সালমানের ভাতিজা।

এরপর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেই এই আলোচনা উস্কে দেন। ৪ নভেম্বর তার নেতৃত্বে দেশটিতে তথাকথিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হয় ১১জন যুবরাজসহ কয়েকজন ধনকুবের ব্যবসায়ীকে বন্দী করার মাধ্যমে। এসময় রাষ্ট্রীয় বেশ কয়েকটি পদে রদবদল করা হয়। বন্দীদেও রাখা হয় রিয়াদের পাঁচতারকা হোটেল ‘রিতজ কারটন’-এ। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৩২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটক রয়েছেন ১৫৯ জন। অভিযোগ ওঠে যে, রাজপরিবারে নিজের কর্তৃত্ব সুসংহত করতেই এই অভিযান চালিয়েছেন যুবরাজ বিন সালমান। তবে তা অস্বীকার করেছেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে এসব বন্দীর কয়েকজনকে সমঝোতার মাধ্যমে ও অর্থের বিনিময়ে সৌদি সরকার ছেড়ে দিয়েছে- এমন খবর আসে গণমাধ্যমে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নানা কারণেই আলোচিত। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। সৌদি আরবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারেও ব্যপক সংস্কারমূলক কাজ হাতে নিয়েছেন তিনি।

ইয়েমেনে সালেহ হত্যা: ইয়েমেনের শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ নিহত হয়েছেন ২০১৭ সালের শেষদিকে এসে। রাজধানী সানায় নিজ বাড়িতে তিনি নিহত হন। এতে করে সৌদি আরবের সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা ইয়েমেন যুদ্ধের ইতি ঘটার যে আশা দেখা দিয়েছিল, তা যেন নিভে গেল। সালেহ ত্রিশ বছর ধরে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। হুতি বিদ্রোহীরা তার বাড়িতে বোমা হামলা চালালে তিনি নিহত হন বলে জানায় হুতি নিয়ন্ত্রিত একটি গণমাধ্যম। সাবেক প্রেসিডেন্টের দল পিপলস কংগ্রেস এ খবর নিশ্চিত করেছে। যদিও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আল-আরাবিয়া পত্রিকা জানায়, সালেহ স্পাইনার বুলেটে নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনে তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ইরান সমর্থিত শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিলেন সালেহ ও তার অনুগত বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় নিহত ৫০ : যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ২০১৭ সালের অক্টোবরে সঙ্গীত উৎসবের একটি কনসার্টে বন্দুকধারীর গুলিতে ৫০ জন নিহত হন। ১ অক্টোবর রোববার ঘটা রাত ১০-টার দিকে মান্দালে বে হোটেলের কাছে ওই এলোপাথাড়ি গুলির ঘটনায় অন্তত ২০০ জন আহত হন। পুলিশ জানায়, হামলাকারী লাস ভেগাসেরই বাসিন্দা। স্টিভেন প্যাডক নামের ৬৪ বছর বয়সী। প্রায় এক ঘণ্টা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। মান্দালে বে’র ৩২-তলার একটি কামরা থেকে তিনি নিচে মিউজিক উৎসবের কনসার্টে জমায়েত শ্রোতাদের ওপর গুলি বর্ষণ করেন। মার্কিন ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে শোচনীয় বন্দুক হামলার ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া উত্তেজনা: যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কারিয়ার মধ্যে চলমান দ্বন্ধ ও যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা বছরজুরেই ছিল আলোচনায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম উন জংয়ের মধ্যে চলার ‘আপত্তিজনক’ বাকযুদ্ধও শুনেছে বিশ^বাসী। সর্বশেষ ডিসেম্বরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ। এই নিষেধাজ্ঞাকে তাদেও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলছে উত্তর কোরিয়া। গত নভেম্বরে উত্তর কোরিয়া যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়, তার শাস্তি হিসেবেই জাতিসংঘের এ নিষেধাজ্ঞা। সত্যি সত্যি যদি পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বেধে যায়, তাহলে অকল্পনীয় মাত্রায় মানুষের মৃত্যু হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন প্রথম এক সপ্তাহেই সামরিক ও বেসামরিক লোকসহ ৩ থেকে ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে। আর তিন সপ্তাহ শেষ হতে হতে মৃত্যু ঘটবে ২০ লাখেরও বেশি।

আজকের বাজার:এসএস/ওএফ/ ডিএস/এলকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭