বিশ্বে করোনায় আরো সাড়ে তিন হাজার মৃত্যু, শনাক্ত ১২ লাখ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ২ হাজার ৫২৩ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৭৩ জন। এ সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৭ জন।

বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওয়ার্ল্ডেমিটার্সের তথ্য বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৯ কোটি ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৮ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬১ লাখ ৯১ হাজার ৪২৫ জনের। এছাড়া এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪৩ কোটি ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩১৭ জন।

গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটেছে। বুধবারও অন্যান্য দেশের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া; আর কোভিডজনিত অসুস্থতায় এদিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৩ জন এবং এ রোগে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৭১ জনের। অন্যদিকে এদিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডজনিত অসুস্থাতায় মারা গেছেন ৪৮৩ জন এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ১১৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৯৩০ জন এবং মারা গেছেন ৩৩৩ জন। একই সময়ে ফ্রান্সে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ জন এবং মারা গেছেন ১২৮ জন। ইতালিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ২৭৮ জন এবং মারা গেছেন ১৫০ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৪৬ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন। যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৩৩ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ২৮৬ জন। এ সময়ে রাশিয়ায় মারা গেছেন ২৯১ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬১ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৯৬ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ১২০ জন।

বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৬ জন। এ রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ২৩০ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৫৪ হাজার ৮০৬ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পরে পরিস্থিতি উন্নতী না হওয়ায় ঐ বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। খবর-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান