বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য বলছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ১১ হাজার ১৭৫ জনে।
ভাইরাসটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৮২৪ জন মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ছয় ব্যক্তি।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮২ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৯৫৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ভারতে মোট আক্রান্ত ৭৫ লাখ ৯৭ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ১৯৭ রোগী। তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৫২ লাখের ৭৩ অধিক এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৭ জনের।
বাংলাদেশে কমেছে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জনের মৃত্যু এবং নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৮০ জনের শরীরে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৯৯ জনে। এছাড়া, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৬ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬০টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬১১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২১ লাখ ৯২ হাজার ৩২৫টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.১৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৮৬ শতাংশ।
নতুন যে ১৮ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ এবং নারী চারজন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
এদিকে, আরও ১ হাজার ৫৪২ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৭ হাজার ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৮.৪৪ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।