আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর। এ নিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্যাম্পের অনেক রোহিঙ্গার কাছে খবর পৌঁছেছে, মিয়ানমারে কিছু হিন্দুকে মুসলমান সাজিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া প্রস্তুতি চলছে।
মুসলমান সেজে কিভাবে আদালতকে বিভ্রান্ত করবে তার মহড়া করা হয়েছে মিয়ানমারে। তবে এই তথ্যের সত্যতা পুরো নিশ্চিত হওয়া এই প্রতিবেদকের পক্ষে সম্ভব হওয়া হয়নি। রোহিঙ্গাদের অনেকেই বলছেন, মিয়ানমারের এ ধরণের কূটকৌশলে বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
শুনানি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলও যাচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের আইসিজেতে। এছাড়া কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকেও যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা। বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে প্রত্যাশা করেন রোহিঙ্গারা।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দেশটির বেসামরিক অংশের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি তার দেশের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে আজ হেগে রওয়ানা দিয়েছেন। এর আগের দিন ৭ ডিসেম্বর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উই মিয়ানমারে অং সান সুচি’র সাথে সাক্ষাত করেছেন।
সবার দৃষ্টি এখন হেগের বিশ্ব আদালতের দিকে; গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এমনটাই প্রত্যাশা রোহিঙ্গাদের।
আজকের বাজার/লুৎফর রহমান