বিশ্ব ইজতেমায় জুমার নামাজে লাখো মুসল্লি

গাজীপুরের টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন আজ শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেছেন দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি। আজ দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের এ জুমার নামাজে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা জুবায়ের। তাবলীগ অনুসারী ছাড়াও জুম্মার নামাজে ঢাকা, সাভার, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখো মুসল্লি অংশ নেন।

এর আগে, আজ বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্ব। প্রথম পর্ব শেষে ৪ দিন বিরতি দিয়ে শুরু হলো শেষ এই পর্ব। ২১ জানুয়ারি রোববার জোহর নামাজের আগেই আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের।

নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশসহ র্যানব, সাদা পোশাকধারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে র্যা্ব ও পুলিশের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে মুসল্লিদের যাতায়াত এবং সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ২০ জানুয়ারি রাত ১০টা হতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশ, ঢাকা ও গাজীপুর জেলা পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির অন্যতম জিম্মাদার প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, দ্বিতীয় পর্বে নির্দিষ্ট ১৬ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। যেসব জেলার মুসল্লিরা এ বছর ইজতেমায় অংশ নেবে সেসব জেলার মুসল্লিরা আগামী ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন না। তবে বিদেশি মুসল্লিরা প্রতিবছর অংশ নিতে পারবেন।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা জেলার খিত্তা নং-১ হইতে ১০ এবং ১৮ ও ১৯), জামালপুর জেলার খিত্তা নং-১১ ও ১২, ফরিদপুর জেলার খিত্তা নং-১৩, ফরিদপুর জেলার খিত্তা নং-১৪, ঝিনাইদহ জেলার খিত্তা নং-১৫, ফেনী জেলার খিত্তা নং-১৬, সুনামগঞ্জ জেলার খিত্তা নং-১৭, চুয়াডাঙ্গা জেলার খিত্তা নং-২০, কুমিল্লা জেলার খিত্তা নং-২১ ও ২২, রাজশাহী জেলার খিত্তা নং-২৩ ও ২৪, খুলনা জেলার খিত্তা নং-২৫ ও ২৭, ঠাকুরগাঁও জেলার খিত্তা নং-২৬ এবং পিরোজপুর জেলার খিত্তা নং-২৮। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ময়দানের উত্তর দিক থেকে ক্রমানুসারে দক্ষিণ দিকে খিত্তার নম্বর বসানো হয়েছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রনকক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশ এলাকায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন ২টি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বুধবার বিকেল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

গাড়ি পার্কিং বিশ্ব ইজতেমায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী অ্যান্ড কলেজ মাঠ, উত্তরার আজমপুর স্কুল মাঠ, কামারপাড়ায় রানাভোলা মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।