বিসিবির এজিএম নিয়ে রিটের আদেশ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান কমিটির কার্যক্রমও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)  বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার রিটের আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।

আজ সোমবার রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিতে বিসিবির ও এনএসসির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মাদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ২০০৮ সালে যে প্রক্রিয়ায় বোর্ডের কাউন্সিলররা নির্বাচিত হয়েছিলেন, বোর্ড গঠন করেছিলেন। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এই কমিটি গঠন করা হয়। ফলে এই কমিটি আইনতই তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।”

২০১২ সালে এনএসসি বিসিবির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিলে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন মোবাশ্বের হোসেন ও বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইউসুফ জামিল বাবু। গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতে রেখে এই বছরই রায় দেয় আপিল বিভাগ ।

ওই রায়ের ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল   বলেন, “বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধনের রায়ের সময় আপিল বিভাগ যদি বর্তমান কমিটিকে অকার্যকর বলে গণ্য করত, তাহলে গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতে দিত না।”

এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একে ‘নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার প্রয়াস’ বলে মন্তব্য করেন মাহবুবে আলম।

বর্তমান কমিটি আগামী ২ অক্টোবর এজিএম ও ইজিএম ডেকেছে; তা বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা এই রিট আবেদনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়কে ‘নিজেদের পক্ষে’ দাবি করে প্রথমে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম এবং এজিএম ও ইজিএমের বৈধতা জানতে চেয়ে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন মোবাশ্বের।

নির্ধারিত সময়ে নোটিসের জবাব না পেয়ে গত রোববার হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন বিসিবির সাবেক এ পরিচালক।

আজকের বাজার: সালি / ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭