আগামী ১৭ অক্টোবর শেষ হচ্ছে বিসিবির বর্তমান কমিটির মেয়াদ। আর তাই নতুন কমিটি নির্বাচনকে ঘিরে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে চলছে তোড়জোড়।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ৫ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করে দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। কমিশনের প্রধান করা হয়েছে ক্রীড়া সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম মিয়াকে।
বৃহস্পতিবার জরুরী এক বোর্ড সভা ডেকে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি কমিশনে থাকছেন ব্যারিস্টার ফাহিমুল হক (আইন পরামর্শক) এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। এছাড়াও বাকি দুই সদস্য হবেন- একজন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের প্রতিনিধি এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) ঠিক করে দেওয়া একজন প্রতিনিধি।
কমিশন ঘোষণার পর সব জায়গায় এখন একটাই প্রশ্ন- কবে হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবে কমিশনই।
বৃহস্পতিবার বিসিবির জরুরী বোর্ড মিটিংয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ক্রীড়া সচিবকে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে চাচ্ছি। বোর্ড এটা অনুমোদনও করেছে। উনার সঙ্গে থাকবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের একজন প্রতিনিধি। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের একজন, একজন লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও বিসিবির সিইও।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমতি পেলেই নির্বাচনের জন্য বিসিবি পদক্ষেপ নিবে জানিয়ে পাপন বলেন, ‘আমরা পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন চাচ্ছি। এনএসসির অনুমোদন হয়ে গেলে নির্বাচনের দিকে এগুবে বিসিবি। তবে কবে এবং কীভাবে হবে সেটা নির্বাচন কমিশনই ঠিক করবে।’
২০১৩ সালে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে যাত্রা শুরু করেন নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। তবে সেবার নির্বাচনটি ছিল অনেকটাই একপেশে। ঐ নির্বাচনে পাপনের প্রতিপক্ষ কোনো প্যানেলই শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন না। অনেকের ধারণা, এবারের নির্বাচনেও প্রভাব দেখাতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে সফল ক্রিকেট বোর্ড কমিটি।
আজকের বাজার: সালি / ৫ অক্টোবর ২০১৭