বীমা প্রতিষ্ঠানের সিইও নিয়োগে রুল জারি

দেশের বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা-সিইও নিয়োগের বিষয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুল অনুযায়ী সিইও নিয়োগে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৪০ কেন অবৈধ ও বেআইনী হবে না, প্রবিধানটি কেন সংশোধন করা হবে না- তা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সম্প্রতি এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট তনয় কুমার সাহা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএ, আইডিআরএ চেয়ারম্যান, আইডিআরএ সদস্য (আইন), আইডিআরএ সদস্য -(জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্ট)-কে এ রিট মামলার বিবাদী করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট তনয় কুমার সাহা জানান, ব্যাংকের সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে কোনো ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হলে তিনি কোনো ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। তবে সর্বনিম্ন বয়সের কোনো সীমা নির্ধারণ করা নেই। কিন্তু বীমা কোম্পানির সিইও হতে হলে সর্বনিম্ন বয়স ৪০ বছর হতে হবে বলে আইনে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
বীমা কোম্পানি (মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ) প্রবিধানমালা, ২০১২ এর ৫(চ) এ বর্ণিত সর্বনিম্ন বয়স সীমা ৪০। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে প্রবিধানটি স্থাগিতাদেশও চাওয়া হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তনয় কুমার সাহা।

বীমা কোম্পানির সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সের এমন বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেক যোগ্যব্যক্তি সিইও হতে পারছেন না। ফলে বিমা খাতে যোগ্যতাসম্পন্ন ও মেধাবী সিইও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সর্বনিম্ন বয়সের সীমা উঠিয়ে দিতে জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানিতে আদালত এই রুল জারি করেন।