বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি বাংলাদেশের স্থলভাগে উঠে এসেছে। এজন্য দেশের বিভিন্নস্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে সোমবার ১২ জুন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বৃষ্টিতে কয়েকদিন ধরে চলা দাবাদাহ থেকে প্রশান্তি মিললেও টানা বৃষ্টি রাজধানীবাসীর কাছে দুর্ভোগে রূপ নিয়েছে। ঢাকার বিভিন্নস্থানে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সারাদেশে বৃষ্টির এই প্রবণতা আরও দু’দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহওয়াবিদরা।
সোমবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার (১২ জুন) সকাল ৬টায় ভোলা ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্বে দিকে স্থলভাগে অগ্রসর হতে পারে।
আবহওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আরও জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে ২ ফুটোর বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আজকের বাজার: আরআর/ ১২ জুন ২০১৭