কোটা সংস্কার

বৃহস্পতিবারে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রোববার থেকে আন্দোলন

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবারের মধ্যে জারি করা না হলে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে রোববার থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

বুধবার (৯ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এর আগে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল বা সংস্কারের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। তার এ বক্তব্যের পর আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিলের ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম শেষ হয় গত সোমবার।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন। পরদিন সচিবালয়ে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, আগামী ৭ মে এর মধ্যে সরকার বিদ্যমান কোটার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে। এ সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনও ৭ মে পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

গত ২৬ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি জানান আন্দোলনকারী। না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন তারা।

সর্বশেষ গত ২ মে সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের ক্ষোভ থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ছাত্ররা কোটা ব্যবস্থা বাতিল চেয়েছে, বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

আজকের বাজার/ এমএইচ