বেনাপোল চেকপোস্টে বুধবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের মধ্যে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ কাস্টমস কর্মকর্তা আহত হযেছেন। এর প্রতিবাদে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে গেছে। বন্দর থেকে সবধরনের মালামাল খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে কাস্টমস অফিসার্স এসোসিয়েশন।
কাস্টমস অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাঙালি জানান, সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা ভারত থেকে দুইজন ল্যাগেজ পার্টি নিয়ে বিনা তল্লাশিতে কাস্টমস পার করার সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা বাধা দেন। এই ঘটনায় পুলিশ ও কাস্টমসের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে ওসি ওমর শরীফের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন পুলিশ এসে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালান এবং অফিস ভাঙচুর করেন।
পুলিশের হামলায় সুপারিনটেনডেন্ট সুভাশিষ বাবু, সুপারিনটেনডেন্ট নজরুল ইসলাম বাঙালি, ইন্সপেক্টর ফরহাদ রেজা, ইনসপেক্টর মামুনুল হক ও ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেন আহত হন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে কাস্টমস অফিসার্স এসোসিয়েশন দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দর থেকে সবধরনের মালামাল খালাস বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি ওমর শরীফ জানান, সন্ধ্যায় তিনি পাসপোর্ট যাত্রীদের খোঁজ-খবর নিতে কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে গেলে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে ধাক্কা দেন। এতে কাস্টমস ও পুলিশ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইমিগ্রেশন অফিসে পুলিশ ও কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিরসনে বৈঠকে বসেছেন।
আজকের বাজার: এলকে/ ২০ ডিসেম্বর ২০১৭