বেসরকারি ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে ইউজিসির সতর্কতা

দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ১০১ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে ৯১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করার জন্য মঙ্গলবার (২২ মে) ইউজিসির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

সেখানে বলা হয়, বর্তমানে ১০১ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদন আছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ৯১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত এই ৯১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০টিতে উপাচার্য, ২০টিতে উপ-উপাচার্য এবং ৪৪টিতে কোষাধ্যক্ষ রয়েছে। বাকিগুলো শীর্ষ পদ ফাঁকা রেখেই শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনুমোদন পেলেও এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি ৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটি, জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়।

অন্যদিকে বেসরকারি ১৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অথচ তাদের বেশ কয়েকটি সরকার ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে, কয়েকটির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, উচ্চ আদালতে মামলা চলছে এবং কয়েকটির অনুমোদন নেই।

এছাড়া বাংলাদেশে এখনও কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছে ইউজিসি।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কেউ অনুমোদনবিহীন কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস বা অননুমোদিত কোনও প্রোগ্রাম বা কোর্সে ভর্তি হলে তার দায়-দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি নেবে না।

রাসেল/