বৈধ পথে স্মার্টফোন আমদানি কমছে

চোরাই পথে দেশের বাজারে ঢুকছে নামিদামি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন। আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ওইসব ফোন অভিজাত ব্র্যান্ডেড বিক্রয় কেন্দ্রেও বিপনন করা হচ্ছে। আর এ কারণে গত এক বছরে বৈধ পথে স্মার্ট ফোন আমদানি মাত্র এক দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে চোরাপথে দেশের বাজারে স্মার্ট ফোন আসার হার ১০ শতাংশ বেড়েছে।

সূত্র জানায়, দেশের বাজারে স্মার্টফোন বিপনন বাড়লেও আদানি চিত্রে তেমন একটি হেরফের হয়নি। বিপননের উদ্দেশ্যে গত অর্থ বছর ২০১৭ সালে সব মিলে দুই কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার সাধারণ ফোন আমদানি করা হয়েছে। এগুলোকে বার ফোন বা বেসিক  ফোন বলা হয়। এসব ফোনে  মূলত কথা বলা ও এসএমএস ছাড়া আর কিছুই করা যায় না। মূলত কতৃপক্ষের চোখে ধূলা দিতে এ চিত্র ফুটিয়ে তুলছে আমদানিকারকরা।

পরিসংখ্যান বলছে,  ২০১৭ সালে সব মিলে বৈধ পথে আমাদনি হয়েছে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার। ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল তিন কোটি ১০ লাখ ২২ হাজার।

আমদানিকারকরা বলছে, মূলত চলতি বছরের বাজেটে হ্যান্ডসেটের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বৈধ আমদানিতে।

ইস্ট্রার্ণ প্লাজার ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, আগে এই মার্কেটে ২০ শতাংশ হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে আসতো, এখন সেটি বেড়ে অন্তত ৩০ শতাংশে চলে গেছে। এ কারণে বৈধ পথে আমদানিতে প্রবৃদ্ধি খুবই সামান্য।

বিপনন প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, এক শ্রেণীর চতুর আমদানিকারক আছে যারা নামিদামি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসটেগুলোর র্পাটস আলাদা করে বাতলি পণ্য হসিবেে র্কাগোে করে দচ্ছি। তাছাড়া ভারত-বাংলদশেরে

কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে র্স্মাটফোন ঢুকছে বলেই আমদানি চিত্র স্থবির হয়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানির পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে।

বায়তুল মোকররমের ফরিদ চৌধুরি বলেন, দামি ফোন আমদানি কমার জন্য  মোবাইল ফোন অপারেটররাই দায়ী। থ্রিজির নেটওয়ার্কে খুব একটা উন্নতি না হওয়ার কারণেই স্মার্টফোনের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়েনি। অথচ বার ফোন বা বেসিক ফোনের আমদানি কিন্তু ঠিকই বেড়েছে।

জানা গেছে,২০১৬ সালে বৈধ পথে দেশে স্মার্টফোন আমদানি হয়েছিল ৮০ লাখ ৪৪ হাজার। ২০১৭ সালে এর পরিমান ছিল ৮০ লাখ ৯৯ হাজার। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে স্মার্টফোন আমদানিতে প্রবৃদ্ধি ছিলো বেশি। ২০১৫ সালে ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার স্মার্টফোন আমদানি হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন,গত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানিতে সরকার শুল্ক বাড়ানাের কারণে বৈধ পথে আমদানি কমেছে এ খাতে।

এমআর/