বৈশ্বিক তাপামাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা অসম্ভব : পরিবেশ বিজ্ঞানী জেমস হ্যানসেন

নেতৃস্থানীয় বিজ্ঞানীদের এক নতুন পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা অসম্ভব।

জাতিসংঘের ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে এই শতাব্দীর শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলো একমত হয়।

প্রখ্যাত জলবায়ুবিদ জেমস হ্যানসেন জার্নাল পরিবেশ: বিজ্ঞান এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য নীতিমালাতে বলেছে, গ্রীন হাউজ গ্যাস বৃদ্ধিতে পৃথিবীর জলবায়ু এখন আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে আরো বেশি সংবেদনশীল।

নাসার প্রাক্তন শীর্ষ পরিবেশ বিজ্ঞানী হ্যানসেন মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিং এ বলেছেন, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা যেখানে ২১০০ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির হারকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার যে ৫০ শতাংশ সুযোগের কথা বলা হয়েছে তা অসম্ভব ব্যাপার। জেমস হ্যানসেন ও তার সহকর্মী বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ম জালানির কল্যাণে ইতোমধ্যে বায়ুমন্ডলে যে পরিমাণ গ্রীন হাউজ গ্যাস প্রবেশ করেছে তা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট।

হ্যানসেনের সহকর্মী বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেরুর বরফ গলা ও উত্তর আটলান্টিকে মিঠা পানি প্রবেশ করার ফলে পরবর্তী ২০-৩০ বছরের মধ্যে আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন ভেঙ্গে পড়তে শুরু করবে। এই আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন সিসটেম হচ্ছে আটলান্টিকের স্রোতের সিস্টেম যা পৃথিবীর জলবায়ু সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই সিস্টেম ভেঙ্গে পড়লে সমুদ্রের উচ্চতা কয়েক মিটার বেড়ে যাবে। যা পৃথিবীকে পয়েন্ট অব নো রিটার্নে নিয়ে যাবে।

১৯৮৮ সালে মার্কিন কংগ্রেসে হ্যানসেন ঘোষণা করেছিলেন যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে।