অবকাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের ফলেই বাংলাদেশ বৈশ্বিক সক্ষমতা সূচকে সাত ধাপ এগিয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তবে আইসিটি বা প্রযুক্তি খাতে তেমন উন্নয়ন হয়নি। এ খাতে উন্নয়ন না হওয়ার পেছনে আইসিটি খাতে নেওয়া বড় প্রকল্প বাস্তবায়নকে দায়ী করছে সিপিডি।
২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার পক্ষ থেকে এসব তুলে ধরা হয়। পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ প্রতিবেদনে ব্যবসায়ীরা সব সূচকে যে মতামত দিয়েছেন তাতে তারা তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণ করেই মতামত দিয়েছেন। তাদের মতামত অনুযায়ী বিদ্যুতের উৎপাদন, সরবরাহ যে বেড়েছে। অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন হয়েছে তা কেউ অস্বীকার করবে না। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত দেশে উন্নীত হয়েছি।
আগামীতে এ সূচকে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তিগত ইকোনমি গড়ে তুলতে হবে। অন্যান্য সূচকে আমরা এগিয়ে গেলেও প্রযুক্তিগত দিকের সূচকে পিছিয়ে রয়েছি।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যবসার সাথে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে ব্যবসায়ে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াতে হবে। প্রতিবেদনে বিডা, বেজার কথা বলা হয়েছে।
এগুলোতে প্রত্যাশিত ফলাফল পেতে হলে যাতে ভালোভাবে কাজ করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার-বেসরকারি খাতকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
প্রতিবেদন তুলে ধরে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত হওয়ায় বৈশ্বিক সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও বন্দর পরিস্থিতির উন্নয়ন, দুর্নীতি কমা, ঘুষ গ্রহণের প্রবণতা কমায়, সরকারি সেবা সহজলভ্য হওয়ায়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমায় ব্যবসা সহজ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুনীর্তির সূচকে প্রাতিষ্ঠানিক জায়গায় বাংলাদেশ বেশ ভালো করেছে। বাংলাদেশ ১৩৭তম অবস্থান থেকে ১০৭তম এসেছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক।
প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা আর সুশাসনের উন্নতির সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে। আর অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে অর্থনীতির এ সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭