ব্যাংকে জমা মেজর ডালিমের ৬৭ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হচ্ছে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিমের গুলশানের বাড়ি বিক্রির অবশিষ্ট ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ২৮ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। এজন্য একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পর প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০১০ সালে সংসদে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিকে জব্দ করার প্রস্তাব পাস করা হয়।

তথ্য মতে, ১৯৮৭ সালের ২৫ মে এপ্রিল শরীফুল হক ডালিমের নামে রাজধানীর গুলশানে পাঁচ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৯৯৪ সালে ওই জমি ও ভবনের অনুকূলে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ঋণ দেয় সোনালী ব্যাংক ক্যান্টনমেন্ট শাখা।

পরবর্তীতে ঋণ খেলাপী হওয়ায় অর্থঋণ আদালতে নির্দেশ অনুযায়ী, ঐ বাড়িটি জব্দ এবং ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয় সোনালী ব্যাংক। ঋণের অর্থ পরিশোধের পর বাকি অর্থ ডালিমের নামে ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ২৮ টাকা আমানত হিসেবে রেখে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এখন ওই অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ব্যাংকটি। এরই অংশ হিসেবে সোনালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রস্তাবণা প্রস্তুত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপরে ডালিমকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় দায়ে মেজর শরীফুল হকক ডালিমসহ (বরখাস্ত) ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী ২০১০ সালে ৫ জনকে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ডালিমসহ ৬ খুনী এখনও বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১০ জুলাই ২০১৭