সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ব্যাংকের তারল্য সংকট থাকলেও ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড(এনসিসি) ব্যাংকে তার প্রভাব পড়েনি। কোনো গ্রাহক টাকা তুলতে এসে এই সমস্যায় পড়েননি। এছাড়া ডলারেরও কোনো সমস্যা নেই বলে জানান ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ ।
বুধবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিট দ্যা প্রেসে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নূরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে ঋণ বিতরণ করে এনসসি ব্যাংক । এখানে পরিচালনা পর্ষদ ঋণ ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না বলেও দাবী করেন তিনি। ব্যবস্থাপকরা যাচাই-বাছাই করে যে ঋণ দেয়ার সুপারিশ করে ওই ঋণই অনুমোদন দেয়া হয়। ফলে গত কয়েক বছর ঋণ আদায়ে সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
গত বছর এনসিসি ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা কমেছে সঙ্গে খেলাপি ঋণও বেড়েছে এর কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ২০১৭ সালে এনসিসি ব্যাংক ৪৯২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটিই রেকর্ড। কিন্তু এবারই প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিটভুক্ত ঋণকে খেলাপি দেখাতে বলেছে।
একই সঙ্গে এসব ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে বলেছে। এ কারণে গত বছর এনসিসি ব্যাংককে ১১৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রভিশন রাখতে হয়েছে। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। মুনাফা কমেছে। তবে এতে ব্যাংকের ব্যালান্সশিট শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৭ সালে ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের অন্যতম সেরা পাঁচটি ব্যাংকের একটি হতে চায় এনসিসি ব্যাংক। এ লক্ষেই কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রে এক নাম্বার নয়, ধারাবাহিক টেকসই মুনাফায় বিশ্বাসী এনিসিসি ব্যাংক ।
এ সময় ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী তুলে ধরা হয়। ব্যাংকটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল শেষে এনসিসি ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটিতে মোট আমানত দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। ঋণ বিতরণ করেছে ১৪ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা।
এ সময় এছাড়াও এনসিসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলা হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদারসহ ব্যংকের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাকির