আমাদের উপার্জনের সবটুকুই কিন্তু খরচ করে ফেলার জন্য নয়। প্রচুর টাকা আয় করে আবার সেই টাকার সবটাই খরচ করে ফেললে প্রয়োজনের সময় টাকা নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ সবকিছুতেই এখন প্রয়োজন টাকার।
তাই শখ-আহলাদ মেটাতে তো বটেই, অন্যান্য প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেও বাড়াতে হবে ব্যাংক ব্যালান্স।
জেনে নিন কীভাবে বাড়াবেন আপনার ব্যাংক ব্যালান্স:
সাশ্রয় করা প্রয়োজনীয়। তবে শুধু সেভিংয়ে জোর দিলেই চলবে না। ব্যাংক ব্যালান্স বাড়াতে আয়ও বাড়াতে হবে।
অনেকে কম কাজ করেও বেশ কৌশলে প্রশংসা আদায় করে নেন বসের। অথচ আপনি সারাদিন ধরে গাধার খাটনি খেটেও বুঝে শুনে পা ফেলেন না। এমন চললে কিন্তু কখনোই বেতন বাড়বে না।
আর বেতন না বাড়লে ব্যাংক ব্যালান্স বাড়বে কীভাবে।
ব্যাংক ব্যালান্স বাড়াতে হলে সামর্থ্যের চেয়ে বেশি খরচ করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আয়ের সঙ্গে ব্যয় অবশ্যই যেন সঙ্গতিপূর্ণ হয়। তা না হলে বিলাসবহুল জীবনের পিছনেই সব উপার্জন খরচ হয়ে যাবে।
ব্যাংক ব্যালান্স বাড়ানোর অন্যতম প্রধান রাস্তাই বিনিয়োগ। তবে না বুঝে যেকোনো খাতে বিনিয়োগ করবেন না। ঝুঁকির বিষয়টি না বুঝে শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ না করাই ভালো। না বুঝে এগোলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
অনুকরণ করার অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। পাশের বাড়ির লোকটি গাড়ি কিনবেন বলে আপনাকেও কিনতে হবে এমন কিন্তু নয়। সেটাই করুন যেটা আপনার প্রয়োজন বা ইচ্ছা। অন্যকে দেখাতে গিয়ে অহেতুক ভুল খাতে খরচ করবেন না।
প্রথমে খরচ করেন আর তারপর যা পরে থাকে তার থেকে সাশ্রয়ের চেষ্টা করেন, এর অর্থ সাশ্রয়ের চেয়ে খরচেই আপনার ঝোঁক বেশি।
আগে সঞ্চয়ের জন্য টাকা সরিয়ে রাখুন। পরে বাকি অংশ প্রয়োজনমতো খরচ করুন।
প্রতি মাসের আয়, তার থেকে কতটা ব্যয় করবেন আর কতটা সাশ্রয় করবেন তার একটা ছক কষে নিন।
ব্যাংক ব্যালান্স বাড়ানোর ইচ্ছাও যেন আপনার সামর্থের বাইরে না হয়। আয় অনুযায়ী ব্যাংক ব্যালান্সের টার্গেট ফিক্সড করুন।
এসএম/