‘ব্যাবসায়ী নয়, যুবলীগ পরিচয়ে গর্ববোধ করি’

আমার বড় পরিচয় আমি যুবলীগকর্মী। মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে চাঁদপুর জেলায় আমার পরিচিতি রয়েছে। তবে আমি যুবলীগকর্মী পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। কারণ, আমি যুবলীগের তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে এসেছি। নেতৃত্ব দেওয়া শিখেছি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের হাত ধরে। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় আমি চাঁদপুর জেলা যুবলীগকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।

আজকের বাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য ও বণিক সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি এবং চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান কালু ভুইয়া।। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের বাজার প্রতিবেদক এস এম জাকির হোসাইন।

মিজানুর রহমান কালু ভুইয়া বর্তমানে চাঁদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তারই ভাষায় তুলে ধরা হলো।

চাঁদপুর জেলা যুবলীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছি বিগত সময়ে। এখন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার আহবায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতেও নেতৃত্ব দিয়ে চাঁদপুর জেলা যুবলীগকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। তৃণমূল পর্যায়ে সবার সাথেই আমার একটা সুসম্পর্ক রয়েছে।

আমি মঠের কর্মী, মাঠে আছি, মাঠেই থাকবো। যুবলীগের নেতৃত্ব গুনের কারনে এখন অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছে চাঁদপুর জেলা যুবলীগের । অনেক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রসহ অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছে। এটাই আমার বড় স্বার্থকতা। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একটি সুসংগঠিত সংঠন। আমি সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করে আরও সংগঠিত করতে চাই।

আমাদের চাঁদপুর জেলা যুবলীগের মধ্যে এখন অনেক উদীয়মান নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। তবে আমি চাই সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার মত যোগ্য ব্যক্তি নেতৃত্বে আসুক এবং সেটাই হওয়া উচিৎ। কারণ যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নেত্রীর নির্দেশেকে আমরা বুকে ধারণ করে যুবলীগের মাধ্যমে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ ।

আমাদের চাঁদপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে ভবিষ্যত নেতৃত্ব উঠে আসবে। দলের হাই কমান্ড পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্বকেই বাছাই করবেন। এটা আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি।

আমরা চাঁদপুর জেলা নিয়ে গর্ববোধ করি। আমাদের চাঁপুর জেলার ৫ টি আসনেই যোগ্য সংসদ সদস্য রয়েছে। যার কারনে আমাদের চাঁদপুর জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। চাঁপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। বর্তমান সরকারের সময় চাঁদপুরে মেরিন একাডেমী হচ্ছে। সরকার হাইমচরের মানুষের অভিশাপ নদীভাঙন রোধে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা অকল্পনীয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের এই উন্নয়ন ইতিহাস হয়ে থাকেব।

জাকির/আরএম