ব্রাজিলিয়ান ‘তারার মেলা’এখন শুধু রিয়ালে

একে একে ব্রাজিলের উঠতি তারকাদের দলে টানছেন রিয়ালের ক্লাব মালিক। সবশেষ রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ব্রাজিলে এসেছে রেইনিয়ের জেসাস। প্রায় ৩০ মিলিয়ন ইউরোতে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গা থেকে জেসাসকে কিনেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারসহ রিয়ালে এখন ব্রাজিলীয় তারকার সংখ্যা ৬ জন।

রিয়াল মাদ্রিদে রেইনিয়ের যোগ দেওয়ার আগেই স্প্যানিশ জায়ান্টের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে পরিচিত মার্সেলো, ক্যাসেমিরো, এদের মিলিতাও, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রদ্রিগো। রিয়ালে এর আগে এত বেশি (৬ জন)ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়কে দেখা যায়নি। ২০০৫-০৬ মৌসুমে হুয়ান রামোন লোপেজের অধীনে পাঁচজন পাঁচ ব্রাজিলিয়ান ছিলেন গ্যালাকটিকো শিবিরে। তারা হলেন রোনালদো, রবার্তো কার্লোস, চিচিনহো, হুলিও ব্যাপতিস্তা এবং রবিনহো।

এমনিতে ব্রাজিলীয় তারকাদের বিশেষ নজরে রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। তারওপর ট্রান্সফার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন হুনি কাতাফাত, যিনি ব্রাজিলের মার্কেটে বেশি নজর রাখেন। রিয়াল প্রেসিডেন্ট পেরেজ নিজেও ব্রাজিলীয়দের পছন্দ করেন। এর কারণ হতে পারে নেইমারকে কেনার সব চেষ্টা বিফল হওয়ার পর ব্রাজিলিয়ানদের প্রতি পেরেজের আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে।

রিয়ালের বর্তমান স্কোয়াডে সবচেয়ে পুরোনো ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলো। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ৬ মিলিয়ন ইউরোতে গ্যালাকটিকো শিবিরে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ক্লাবের প্রথম সহ-অধিনায়ক। মার্সেলোর পর ২০১৩ সালে ৫ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি’তে সাও পাওলো থেকে রিয়ালে আসেন ক্যাসেমিরো। তবে মিডফিল্ডে তার সেরা ছন্দের জন্য কোচ হিসেবে জিনেদিন জিদানের অপেক্ষায় থাকতে হয় তাকে।

একটি নির্দিষ্ট দেশ থেকে একসঙ্গে এত খেলোয়াড় কেনা অবশ্য রিয়ালের জন্য নতুন কিছু নয়। ব্রাজিল ছাড়াও ২০০৮-০৯ মৌসুমে রামোন কালদেরনের সময় ডাচ তারকা হিসেবে রিয়ালে ছিলেন ওয়েসলি স্নাইডার, আরিয়েন রোবেন, রাফায়েল ফন ডার ভার্ট, ক্লাস-ইয়ান হান্টলার, রয়স্টন ড্রেন্থ এবং রুড ফন নিস্টলরয়।

আজকের বাজার/আরিফ