ব্রাজিল ডিসেম্বরে চীনের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করবে

ব্রাজিলে করোনা প্রতিরোধে চীনের তৈরি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল টেস্টে “খুবই ইতিবাচক” ফলাফল পাওয়ায় যথাসম্ভব দ্রুত ডিসেম্বরে ব্যাপকভিত্তিক ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হতে পারে। বুধবার সাও পাওলোর গভর্নর এ কথা বলেন।
ব্রাজিলে করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাও পাওলো রাজ্যসহ ছয়টি রাজ্যে চীনের ওষুধ কোম্পানি সিনোভাক বায়োটেক’র তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের টেস্ট চালানো হয়।
গভর্নর জেয়াও দোরিয়া বলেন, ৬০ বছরের অধিক বয়সের রোগীদের এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, এদের ৯৮ শতাংশের ইমিউন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ পর্যন্ত কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
তিনি এক সাংবাদ সম্মেলনে বলেন, “টেস্টেও ফলাফল অত্যন্ত ইতিবাচক।”
তিনি বলেন, “আমরা শিগগিরই সাও পাওলো এবং গোটা দেশে ব্রাজিলিয়ানদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে ইমিউন সক্ষম করে তুলতে পারবো এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।”
ভ্যাকসিনের প্রয়োগে রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে ব্রাজিলের বুতানতান ইনস্টিটিউটের গণস্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্রের অংশীদারিত্বে সিনোভাক তৃতীয় ক্লিনিক্যাল টেস্ট সম্পন্ন করবে।
কর্মকর্তারা জানান, সিনোভাকের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ইনস্টিটিউট ১২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে।
করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের পরে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাজিল, দেশটিতে করোনায় ১ লাখ ২৭ হাজার লোকের মৃত্যু এবং ৪১ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে।