ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল চুরির মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চাল চুরির মামলা করা হয়েছে।

ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বড়লৌহঘর গ্রামের বাসিন্দা খোরশিদ আলম ভূঁইয়া কিরণ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ওই মামলা করেন।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য ১৬ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।

১৬০০ উপকারভোগী হতদরিদ্রকে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য ভিজিএফ প্রজেক্ট দেয়া হয়। গত ১০ জুন উপজেলা সরকারি গোডাউন থেকে ১৬ টন চাল উত্তোলন করা হয়। ১২ জুন সকাল থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়।

অভিযোগ উঠেছে, বিতরণের সময় ১০ কেজি চালের স্থলে দেয়া হচ্ছিল ৮ কেজি করে। তার পরও বেলা ২টার দিকে কার্ডধারী অর্ধশতাধিক দরিদ্রকে দেয়া বাকি থাকতেই চাল শেষ হয়ে গেছে ঘোষণা দিয়ে বিতরণ বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ সময় তুমুল হইচই শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত চাল না পাওয়া দরিদ্ররা চালের দাবি করতে থাকলে চেয়ারম্যান কামাল ভূঁইয়া তাদের বলেন, চাল ওজনে কম এসেছে তাই বরাদ্দকৃত চাল শেষ হয়ে গেছে।

তিনি সবাইকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চালের দাবিতে প্রতিবাদ করতে থাকলে এ সময় চেয়ারম্যান কামাল ভূঁইয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ভিজিএফ কার্ড হোল্ডারদের কাছ থেকে জোরপূর্বক কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন।

জানা গেছ, ৫১ হতদরিদ্র রিলিফ কার্ডধারীকে বরাদ্দকৃত প্রত্যেকের ১০ কেজি করে ৫১০ কেজি এবং যাদের মধ্যে চাল বিতরণ করেছে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই কেজি করে ওজনে কম দিয়ে ৩ হাজার ৯৮ কেজিসহ মোট ৩ হাজার ৬০৮ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। যার বাজারমূল্য এক লাখ ৪৪ হাজার ৩২০ টাকা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কামাল ভূঁইয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা বাকি রয়েছে, তারা চাল নেয়ার জন্য আসেনি। তাদের চাল সংরক্ষিত আছে।

তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন।

আরজেড/