ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা

শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তিনদিন ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

আগের দুদিন মহাখালীতে ভবনের ভেতরে বিক্ষোভ করলেও মঙ্গলবার ০১ আগস্ট কর্তৃপক্ষ বের করে দিলে তারা বাইরে অবস্থান নিয়ে মিছিল-স্লোগান দেয়।

রেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি করে তাদের সাত দিন সময় দিয়েছে, যা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আইন বিভাগের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদ রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ শাহুল আফজালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর রোববার থেকে উত্তেজনা চলছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সোমবার দিনভর বিক্ষোভ এবং উপাচার্যকে আটকে দেওয়ার পর মঙ্গলবার সকালেও কয়েকটি ভবন নিয়ে চলমান ওই ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা রেজিস্ট্রার শাহুল আফজাল, সহকারী রেজিস্ট্রার মাহি উদ্দিন ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের সিনিয়র অফিসার জাভেদ রাসেলকে বরখাস্তের দাবি জানান।

পরে শিক্ষার্থীদের ভবনের বাইরে সড়কে বিক্ষোভ চালাতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের বের করে দিয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা।

মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। তদন্ত কমিটিকে ৭ ‍দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

বিক্ষোভের মুখে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ সাদ আন্দালিব এক বার্তায় বলেছিলেন, তিনি পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ অবসান চান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ফারহান স্যার আমাদের বিভাগের একজন সৎ ও মেধাবী শিক্ষক। উনাকে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। যারা তাকে লাঞ্ছিত করেছে, তাদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।

আজকের বাজার: আরআর/ ০১ আগস্ট ২০১৭