ভর্তি ও টিউশন ফি’র সীমারেখা থাকতে হবে

শিক্ষা সম্প্রসারণের সঙ্গে শিক্ষার মান সমুন্নত রাখতে হবে। তাহলেই যোগ্য গ্রাজুয়েট তৈরি করা সম্ভব। উচ্চ শিক্ষা লাভকারী নতুন প্রজন্মের গ্র্যাজুয়েটরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। তাই উচ্চশিক্ষার মান সমন্বিত রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভর্তি ও টিউশন ফি’র একটি সীমারেখা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার ১০ ডিসেম্বর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন মন্ত্রী।

ঢাকায় আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা বাদ দিয়ে জনকল্যাণ, সেবার মনোভাব ও শিক্ষায় অবদান রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও পরিচালনা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে উন্নত মানের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরো সচেতন হতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ন্যূনতম শর্ত পূরণ না করলে তারা বেশি দিন চলতে পারবেন না। জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশনফিসহ অন্যান্য ব্যয় একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে হবে।

নাহিদ বলেন, নতুন প্রজন্মই আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য তাদের মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে হবে। তাদেরকে দায়িত্বশীল দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, সৎ এবং নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জ্ঞান ও মেধার প্রয়োগে সৃজনশীল হওয়ার জন্য তরুণদের সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. জাফার সাদেক, উপাচার্য ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এনামুল হক খান।

আজকের বাজার: আরএম/ ওফ/ আরআর/ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭