ভাগ্যকে দুষছেন সাইফ

পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একপেশে ফাইনালে ১৮৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। অথচ লড়াইটা হতে পারত আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ দলের মধ্যেও। তবে সেমি ফাইনালে সহায় হয় নি ভাগ্য।
কুয়ালালামপুরে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্যায়ে ভারতকে বিদায় করে দিয়ে জিতেছিল তিন ম্যাচ এর তিনটিতেই। বিপত্তি বাধে সেমি ফাইনাল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিতে টুর্নামেন্টের সব দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ২৭৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেই রান টপকাতে পারেনি পাকিস্তান। কিন্তু ম্যাচ ঠিকই জিতে যায়। ৩৯ ওভারে পাকিস্তানের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৯৯। বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান ২ রানে।
বিপিএলের অনুশীলনে এলেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাইফকে ফিরে যেতে হলো সেই সেমি ফাইনালে। ভাগ্য ছাড়া আর কাকেই বা দায় দিবেন সাইফ। ৯২ রান করে মূল বাধা হয়ে থাকা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ তাহাকে তখন মাত্রই ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। সাইফের বিশ্বাস, পুরো খেলা হলে বাংলাদেশই জিতত সেই ম্যাচ, খেলা হতো ফাইনালও।
তিনি বলেন, ‘পুরো ম্যাচ আমরাই দাপটে খেলেছি। বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত আমরা এগিয়ে ছিলাম। স্রেফ আগের ওভারটিতেই ৯-১০ রান নিয়ে ওরা এগিয়ে গিয়েছে। দুভার্গ্য আমাদের। আবহাওয়ার ওপরে তো নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি পুরো ম্যাচ হতো, আমরা হয়তো ম্যাচটা জিততাম।’
সেই হারকে পেছন ফেলে সাইফ এখন মন দিতে চান বিপিএলে। দারুণ সম্ভাবনাময় এই তরুণ ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, বিপিএল থেকে তার অনেক কিছুই শেখার আছে।
তাঁর মতে, ‘খুব ভাল একটা অভিজ্ঞতা হবে। জাতীয় ক্রিকেটাররা আছেন, বিদেশি ক্রিকেটার আছেন অনেক। খুব ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে। এখান থেকে যতটা সম্ভব নেওয়ার চেষ্টা করব।’
শিখতে চাইলে খুব কাছেই আদর্শ একজনকে পাবেন সাইফ। খুলনা টাইটানসের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। সাইফ জানালেন, সাবেক লঙ্কান অধিনায়কের কাছ থেকে শেখার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।
তাঁর মতে, ‘উনি গ্রেট ব্যাটসম্যান, আমার খুব পছন্দের। ছোটবেলা থেকেই উনার ব্যাটিং অনুসরণ করি। এখানে উনার কাছ থেকে অনেক কিছু নেওয়ার চেষ্টা করবো, যতটুকু সম্ভব।’
আজকের বাজার: সালি / ২০ নভেম্বর ২০১৭