ভাতা ও ত্রাণ উপকারভোগী সারাদেশে ৮০ লক্ষাধিক

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সারাদেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় জুন পর্যন্ত ৮০ লাখ ৯ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকার ভাতা বিতরণ করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ও ত্ত্বাবধানে এই ভাতা বিতরণ করা হয়। আজ এক তথ্যবিবরণীতে একথা জানানো হয়েছে।

ভাতা ও ত্রাণবিতরণে সারাদেশে উপকারভোগীর মধ্যে রয়েছে-বয়স্ক ভাতা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৪৪ লাখ, বিধবা ও স্বামীনিগৃহীতা মহিলা ভাতা কর্মসূচিতে ১৭ লাখ, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা কর্মসূচিতে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচিতে এক লাখ, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৫ হাজার ৭৬৭, বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১০ হাজার, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৭১ হাজার, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৫০ হাজার, ক্যান্সার, কিডনী লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগী, প্যারালাইজড, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে ৩০ হাজার এবং বেসরকারি এতিমখানায় ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান ৯৭ হাজার ৫শ জন।

অন্যদিকে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুসুরক্ষা কার্যক্রমের অধীনে ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবার, ৬টি এতিমখানা ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-, ৩টি মহিলাদের আর্থসামাজিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র, ৬টি ছোটমনি নিবাস, ১টি ডে- কেয়ার সেন্টার, ১৩টি শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র এবং ৩টি দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে সরকারি উপকারভোগী ১৭ হাজার এবং ৩ হাজার ৯২০টি বেসরকারি ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত বেসরকারি এতিমখানায় উপকারভোগী ৯৭ হাজার শিশু।

এছাড়াও বিশেষ ত্রাণ হিসেবে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭৩ জনকে খাদ্য সহায়তা ও নগদ-অর্থ প্রদান করা হয়েছে।  উপকারভোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ২ হাজার ৭৩৬, ঢাকা বিভাগে ৮৭ হাজার ৯৩২, রংপুর বিভাগে ২২ হাজার ৯৯৪, বরিশাল বিভাগে ১৫ হাজার ৭শ, খুলনা বিভাগে ১২ হাজার ৫৮৩, রাজশাহী বিভাগে ১১ হাজার ১২৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ হাজার ৫৭৪, সিলেট বিভাগে ৫ হাজার ২৮৬ ও ঢাকা মহানগরে ১২ হাজার ৭৪৫ জন।

উল্লেখ্য, ত্রাণকার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে এ পর্যন্ত ২১জন কর্মচারী কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ও নিজবাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান