ভারতীয় ঋণ চুক্তির অর্থছাড় সন্তোষ জনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি। তিনি বলেছেন, ভারতের লাইন অব ক্রেডিট ঋণের ১ বিলিয়ন এবং ২ বিলিয়ন চুক্তির পর অর্থ ছাড় সন্তোষজনক নয়। তবে এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মুহিত।
৪ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে তৃতীয় ‘ ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেমেন্ট’ এর আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চুক্তির স্বাক্ষরের পর, তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকায় সফররত ভারতের অর্থ ও কর্পোরেট মন্ত্রী অরুণ জেটলি ছিলেন।
এরপর অরুণ জেটলি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তৃতীয় ‘ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ চুক্তির আওতায় অগ্রিম ১৭টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। অবকাঠামোগত গুরুত্বপূর্ণ খাতে এ অর্থ ব্যয় হবে। প্রোজেক্ট সিলেকশন, ল্যান্ডসহ অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে অর্থ ছাড়ে সমস্যা হয়। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সব দেশই হয়। আশা করছি- এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠব।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার হতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বাংলাদেশকে ৮০০ কোটি ডলারের ৩টি ঋণ প্রদান করেছি। এ পর্যন্ত এটাই ভারতের কোনো দেশকে দেয়া স্বল্পসুদে সর্বোচ্চ ঋণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ভারতের দেয়া অতীতের ঋণগুলোর মত এই ঋণেও অত্যন্ত হ্রাসকৃত সুদে বছরে মাত্র ১ শতাংশ হার সুদে প্রদান করা হল এবং এই ঋণ ৫ বছরের জন্য স্থগিত রাখার সময়সহ (গ্রেস পিরিয়ড) ২০ বছর সময়কালে পরিশোধ করতে হবে হবে।
এদিকে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দু ‘দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুরক্ষার চুক্তির উপর যৌথ ব্যাখ্যামূলক নোটসমূহ ও স্বাক্ষরিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এর আগে ভারত-বাংলাদেশ মধ্যে ২০১০ সালে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে প্রথম ‘ ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দু’দেশের মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নমনীয় ঋন সহায়তা জন্য দ্বিতীয় ‘ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে প্রথমটির অর্থে নেয়া ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ১২ টি প্রকল্প কাজ শেষ হয়েছে এবং দ্বিতীয়টির ১৪ টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৪ অক্টোবর ২০১৭