শেষ ২ ওভারে দরকার ছিলো রান। ফিফটি হাঁকিয়ে ব্যাট করছিলেন দারুণ ছন্দে থাকা মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মেহেদী মিরাজ। তবে উনিশতম ওভারে মাত্র ৫ রান দেন শার্দুল ঠাকুর। আর শেষ ওভারে মেহেদী মিরাজকে হারিয়ে ১০ রান নিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
১৭ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে। ফলে ভারতের বিপক্ষে টি-২০তে জয়ের ক্ষরা এবার কাটলো না। যদিও দলটির বিপক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছে এদিন বাংলাদেশ। এর আগে টি-২০তে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিলো ১৫৫। ২০০৯ সালে নটিংহ্যামে ৮ উইকেট হারিয়ে ইনিংসটি খেলোছিলো বাংলাদেশ।
ভারতের দেয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টাইগারদের টপ অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ইনিংসের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন ওপেনার লিটন দাসকে (৭)।
এক ওভার পরই সৌম্য সরকারকে (১) বোল্ড করে ফেরান। শার্দুল ঠাকুরের এক ওভারে ১৯ রান নেয়া তামিম ফেরেন ২৭ রানে। এবারও ঘাতক ওই ওয়াশিংটন সুন্দর।
চাপটা নিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও। ১১ রানে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি। তবে একপাশ থেকে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া সাব্বির ২৭ রান করে ফিরলে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় মুশির জন্য।
শেষ ৪ ওভারে দরকার ছিলো ৫৭ রান। মুশফিক ৪৮ এবং সাব্বির ব্যাট করছিলেন ২১ রানে। ১৭তম ওভারে ৮ রান দিয়ে সাব্বিকে তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ফের চাপ পড়ে বাংলাদেশ। যে চাপটি আর পেরুতে পারেনি টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৫৯/৬ (মুশফিক ৭২*, তামিম ২৭, সাব্বির ২৭; সুন্দর ৩/২২)।
ভারত: ১৭৬/৩ (রোহিত ৮৯, ধাওয়ান ৩৫, রায়না ৪৭; রুবেল ২/২৭)।
আজকেরবাজার/এস