ভারতে জবাই করার উদ্দেশ্যে গরু ও মহিষসহ আরও কয়েকটি গবাদিপশু বিক্রির ওপরের দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব স্থগিত করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
গত মে মাসের শেষের দিকেই দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়ে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সারা দেশেই প্রতিবাদ হয়েছে। গত ৩০ মে তামিলনাড়ুর একটি নিম্ম আদালত কেন্দ্রের ওই আদেশ স্থগিত করে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বরাত বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, গত ৮ জুলাই মাদ্রাজ হাইকোর্ট গরু ও মহিষসহ আরও কয়েকটি গবাদিপশু বিক্রির ওপরের দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব স্থগিত করে যা এখন থেকে সারা দেশের জন্যই কার্যকর হবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরে সরকার প্রস্তাবিত নতুন আইনটির কিছু ধারা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে।
গত ২৬ মে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এক গেজেটে গরু ও মহিষসহ আরও কয়েকটি গবাদি পশু হত্যার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশটিতে।
সমালোচকরা বলেন, সে দেশের প্রায় ১ লাখ কোটি রুপির মাংসের ব্যবসায় ধ্বস নামবে এই নীতির ফলে। গোমাংসের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চাপে পড়বেন গৃহপালিত পশু অক্ষম হলে যারা বিক্রি করে দেন তারাও।
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে কৃষিকাজের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে গরু, ষাঁড়, গাড়ি টানা বলদ, হাল টানা বলদ, মোষ, বকনা বাছুর ও উট বিক্রি করা যাবে না।
সরকারি ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বাজারে গরু বা অন্য গবাদি পশু আনতে গেলে প্রয়োজনীয় আগাম অনুমতি নিতে হবে। যাতে কৃষি ও পশুপালন সংক্রান্ত উদ্দেশ্য উল্লেখ করলে তবেই ছাড় দেওয়া হবে। বিক্রেতা সঠিক পরিচয়পত্রে নিজেকে কৃষক প্রমাণ করতে পারলেই গরু বা মহিষ কিনতে পারবেন।
পাশাপাশি রাজ্যের সীমান্তের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো পশু বিক্রির বাজার থাকতে পারবে না বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নীতি গোটা দেশে কার্যকর হয়ে যাবে। তখন একটি গরু কেনাবেচা করতে অনেক কাগজপত্র লাগবে। কেনাকাটা নিয়ে মোট পাঁচটি প্রমাণপত্র রাখতে হবে। স্থানীয় রাজস্ব অফিস, স্থানীয় পশু চিকিৎসক, পশুবাজার কমিটি ছাড়াও ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছে থাকতে হবে বিক্রির কাগজ।
আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১১ জুলাই ২০১৭