ভারতে জবাই করার উদ্দেশ্যে গরু ও মহিষসহ আরও কয়েকটি গবাদি পশু বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২৬ মে শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই সংক্রান্ত গেজেট জারি করেছে।
ওই গেজেটে গরু ও মহিষসহ আরও কয়েকটি গবাদি পশু হত্যার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে। কসাইখানার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও দেশটিতে মাংস ব্যবসা ধাক্কা বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সে দেশের প্রায় ১ লাখ কোটি রুপির মাংসের ব্যবসায় ধ্বস নামবে এই নীতির ফলে।
গোমাংসের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চাপে পড়বেন গৃহপালিত পশু অক্ষম হলে যারা বিক্রি করে দেন তারাও। কারণ নতুন নিয়মে বলা হয়েছে কৃষিকাজের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে গরু, ষাঁড়, গাড়ি টানা বলদ, হাল টানা বলদ, মোষ, বকনা বাছুর ও উট বিক্রি করা যাবে না।
সরকারি ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাজারে গরু বা অন্য গবাদি পশু আনতে গেলে প্রয়োজনীয় আগাম অনুমতি নিতে হবে। যাতে কৃষি ও পশুপালন সংক্রান্ত উদ্দেশ্য উল্লেখ করলে তবেই ছাড় দেওয়া হবে। বিক্রেতা সঠিক পরিচয়পত্রে নিজেকে কৃষক প্রমাণ করতে পারলেই গরু বা মহিষ কিনতে পারবেন।
পাশাপাশি রাজ্যের সীমান্তের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো পশু বিক্রির বাজার থাকতে পারবে না বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নীতি গোটা দেশে কার্যকর হয়ে যাবে। তখন একটি গরু কেনাবেচা করতে অনেক কাগজপত্র লাগবে। কেনাকাটা নিয়ে মোট পাঁচটি প্রমাণপত্র রাখতে হবে। স্থানীয় রাজস্ব অফিস, স্থানীয় পশু চিকিৎসক, পশুবাজার কমিটি ছাড়াও ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছে থাকতে হবে বিক্রির কাগজ।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২৭ মে ২০১৭