ভারতে নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োগ স্থগিতের আবেদন খারিজ

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের উপর স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। অবশ্য এই আইন সংবিধানের লঙ্ঘন কিনা সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে আদালত।

নাগরিকত্ব আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল ৫৯টি পিটিশন। বুধবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে এগুলির শুনানি হয়। পিটিশন দাখিলকারীদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ এবং আসামে শাসক বিজেপির শরিক দল আসাম গণপরিষদ।

পিটিশনগুলিতে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকত্বে অনুমোদন পাওয়ার ভিত্তি কখনোই ধর্ম হতে পারে না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের মূল ভিত্তিরবিরোধী। কারণ এই আইনে বেআইনি শরণার্থীদেরও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া হচ্ছে। এতে সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে ।

সংক্ষিপ্ত শুনানিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করে। তবে আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশের আবেদন মানতে রাজি হয়নি আদালত। ২২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে ।

আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ানের জানান, আইন এখনো বাস্তব রূপ পায়নি। তাই আপাতত এই আইন স্থগিত করা হোক।

তার বক্তব্যের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বেণু গোপাল বলেন, আইনে এভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না। এমন দৃষ্টান্ত সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারের ক্ষেত্রে রয়েছে।

আজকের বাজার/এমএএইচ