ভারতে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে বিএনপির ছবি, বিতর্ক তুঙ্গে

ভারতের রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিন ঘোষণা হয়েও তা পিছিয়ে গিয়েছে। আদালত থেকে বিক্ষোভ-বিরোধ এমনকী মৃত্যুও-মনোনয়ন শেষ হতে না হতে প্রায় সবকিছুই ঘটে গিয়েছে। তবে দেখার বোধ হয় আরো বাকি ছিল। তা দেখা গেল বিজেপির সৌজন্যে। তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে জায়গা করে নিল বাংলাদেশের এক সংঘর্ষের চিত্র। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।

সংবাদ প্রতিদিন এক প্রতিবেদনে জানায়, গত মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নিয়ে আইনি জটিলতার অবসান হয়েছে। তারপর বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেটুকু মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব হয়েছে তা নিয়েই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত পদ্ম শিবির। রাজ্যের শাসকদলকে কড়া টক্কর দিতে দল যে কোনোভাবেই পিছপা হবে না তা জানিয়ে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

সেদিনই প্রকাশ হয় নির্বাচনী ইস্তাহার। প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তবে বিতর্ক বাধে অন্য একটি ছবিকে কেন্দ্র করে।

সংঘর্ষের সে ছবি এ রাজ্যের তো নয়ই, দেশেরও নয়। সেটি বাংলাদেশের। বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের একটি ছবি জায়গা করে নিয়েছে এই ইস্তাহারে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির আদেশ দেওয়ার পর শাসকদল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন বিএনপি সমর্থকরা।

তখনই বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। সেই ছবিই উঠে এসেছে এই ইস্তাহারে। তা নিয়েই বেধেছে বিতর্ক। কেন বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলাদেশের ছবি? এর আগে বাংলার অশান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরতে এক বিজেপি নেত্রী ভোজপুরী সিনেমার ছবি তুলে ধরেছিলেন। পরে তা ধরাও পড়ে যায়। এবারো কি সেরকম ভুল হল! নাকি এ কাজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? সে প্রশ্নই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।

যদিও বিজেপি নেতারা বলছেন, ছবিটি সচেতনভাবেই রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো ভুল নেই। ইস্তাহারের একটি অংশের লেখা পড়লে বোঝা যাবে ছবিটি কেন রাখা হয়েছে। বক্তব্যের সঙ্গে তুলনা টেনেই ছবিটি রাখা হয়েছে।

এহেন বক্তব্য সত্ত্বেও বাংলার ভোটপ্রচারে বাংলাদেশের সংঘর্ষের ছবি টেনে আনার বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে নিচ্ছেন না। শাসকদলের তরফে এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

এস/