ভারতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালায় জিহাদী শক্তি সক্রিয় রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর দশহরা উৎসব উপলক্ষে নাগপুরে এক সমাবেশে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সন্ত্রাসী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে মন্তব্য করে মোহন ভাগবত বলেন, ‘বাংলাদেশি শরণার্থী সমস্যা নিয়ে এখনো আমরা জর্জরিত। যদি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এদেশে আশ্রয় দেয়া হয় তাহলে শুধু কর্মসংস্থানেই প্রভাব পড়বে না, জাতীয় নিরাপত্তাও সঙ্কটের মুখে পড়বে। ‘
তার প্রশ্ন, ‘ওরা কেন সেখান থেকে এখানে এসেছে? কেন সেদেশে তারা থাকতে পারছে না ? কারণ, ওরা বিচ্ছিন্নতাবাদী, সহিংসতা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। জিহাদী শক্তির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কথা উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এজন্য তাদের প্রতি সেদেশের সরকারের মনোভাবও কঠোর।’
এদিকে, গতকাল (শুক্রবার) উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশকারী বলে উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী যোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
আদিত্যনাথ বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয় বরং অনুপ্রবেশকারী। এটা দুঃখজনক যে, কিছু লোক তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন ও উদ্বিগ্ন হয়েছেন। মায়ানমারে নিরপরাধ হিন্দুদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং এটা দেখা যাচ্ছে যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে।’
ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা দিয়ে তারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদ ও তাদের সঙ্গে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সংযোগ আছে বলে দাবি করা হয়েছে।
রোহিঙ্গারা অবশ্য সরকারের ওই দাবি নাকচ করে দিয়ে তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠন তো দূরের কথা অপরাধমূলক কাজকর্মেও তারা জড়িত নন বলে পাল্টা হলফনামায় দাবি করেছেন।
সূত্র:পার্স টুডে
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭