ভারত থেকে ১৫ বছর মেয়াদে জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশটির উত্তরাঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুডি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুর ডিপোতে এ তেল আসবে। এ রুটে ৫০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আসবে বাংলাদেশে।
১১ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৈঠকে ভারত থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ৫০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ব্যারেল প্রতি প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে ৫.৯২ মার্কিন ডলার। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন হচ্ছে। ২০১৫ সালে এ নিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন এবং নূমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের নামকরণ হবে ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’।এ পাইপলাইনে তেল আমদানি খরচ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হবে। এর আগে আমদানিকৃত জ্বালানি তেল নৌপথে ভারতের আসাম রাজ্যের শিলঘাট থেকে বাংলাদেশের বাঘাবাড়ী ডিপোতে জ্বালানি তেল পরিবহন করা হত।
তেলের একেকটি চালান বাংলাদেশে পৌঁছাতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগত। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিলতার কারণে নৌপথে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১১ অক্টোবর ২০১৭