রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, অতিরিক্ত চাল ও পেয়াজ আমদানির কারণে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত (ভারতের ২০১৬-১৭ অর্থবছর) বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে গেছে।
আলোচ্য সময়ে দুই দেশের মধ্যে মোটি আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ দাড়িয়েছে ৭৬০ কোটি মার্কিন ডলার। যা ভারতের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
দ্যা হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এর আগে টানা দুই অর্থবছরের কমতে থাকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আকার কমার পরে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা আবার ব্যাপক আকারে বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রামপালে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারত থেকে ভারী ও ব্যবহুল যন্ত্র পাঠানো হচ্ছে। আর তা ভারতের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বরাত দিয়ে দ্যা হিন্দু বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে রপ্তানি করে মোট আয় করেছে ৬৮০ কোটি মার্কিণ ডলার। যা আগের অর্থবছরের চাইতে ১৩ শতাংশ বেশি।
বিপরীতে আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত আমদানি করেছে মোট ৮০ কোটি ডলারের পণ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় পণ্যের ৯ম বৃহত্তম বাজার বাংলাদেশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট ৬০৩ কোটি ডলারে পণ্য রপ্তানি করে। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
২০১৪-১৫ অর্থবছরের ভারত বাংলাদেশে মোট ৬৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
এর আগে ২০১৩-২০১৪ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশ ৬১০ কোটি মার্কিন ডলারের সুতা, চিনি, খাদ্যশস্য, গাড়ি ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানি করেছে।
কিছু দিন আগে ভারতীয় শিল্পপতিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাষ্ট্রি (সিআইআই) আশা প্রকাশ করে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৪ অক্টোবর ২০১৭