ঘরের মাঠে ফেবারিট হয়ে খেলতে নেমেও তৃতীয় হওয়ার সান্ত্বনা নিয়ে গত যুব বিশ্বকাপ শেষ করেছিল মিরাজ-শান্ত-সাইফউদ্দিনরা। দুই বছর আবার একটি যুব বিশ্বকাপ সামনে। এবার গত আসরের চেয়েও ভালো কিছু করতে চায় যুবারা। আর তা করতেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সাইফ-আফিফ-অনিকরা। নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে ভালো কিছু নিয়েই দেশে ফিরতে পারবেন বলেই বিশ্বাস করেন দলের সহ-অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব।
নিউজিল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশের জন্য কাজটা বেশ কঠিন। এ কথা ভালো করেই জানেন আফিফ। কিন্তু তারপরও নিজেদের উপর বিশ্বাস রয়েছে তার। সেরাটা মাঠে দিতে পারলেই ভালো ফলাফল করতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি, ‘আমরা সবাই যদি ভালোভাবে নিজেদের সেরাটা দিতে পারি এবং সবাই একত্রে থেকে যদি আমাদের ভালো পারফর্মটা করতে পারি ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু নিয়েই দেশে ফিরতে পারব।’
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মূল শক্তিই বোলিং। স্পিন ও পেস দুই বিভাগেই দারুণ ভারসাম্য রয়েছে দলটিতে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটসম্যানরাও ভালো করছেন। তাই সবমিলিয়ে নিজের দলের উপর দারুণ আস্থা রয়েছে আফিফের, ‘আমাদের স্পিনাররাও ভালো আছে। আমাদের পেস বিভাগও ভালো আছে। তিনটা পেসার নিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। ওখানে স্পিন-পেস কম্বিনেশনে যদি ভাল করতে পারে বোলাররা, তাহলে ভালো কিছু হবে।’
আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডে শুরু হচ্ছে যুবাদের বিশ্বকাপ। তবে এর আগেই সেখানে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। সোমবার রাতেই ঢাকা ছাড়ছে তারা। এছাড়াও বেশ কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দলটি। সেখান থেকেই কন্ডিশন সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন বলে মনে করেন আফিফ, ‘আমরা বিশ্বকাপে তো যাচ্ছি অনেকদিন আগে তো ওখানে প্রস্তুতিম্যাচগুলো খেলে ভালো প্রস্তুতিই নিতে পারব। মূল আসরের আগে বড় দুই দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। ওখানকার ম্যাচগুলোই কাজে লাগবে।’
লক্ষ্যটা বড় হলেও ধাপে ধাপে আগাতে চায় যুবারা। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণাও নিচ্ছেন তারা। বেশ কিছু ব্যাটিং ভিডিও, বোলিং ভিডিও দেখেছেন বলে জানান আফিফ। এরপর ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঝরে এ যুবার কণ্ঠে।
আজকের বাজার: সালি / ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭