‘ভালো থেকো’ না দেখার আহ্বান, ক্ষোভ নাকি প্রচারণা?

শুক্রবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে শুভ-তানহা অভিনীত ‘ভালো থেকো’। কিন্তু মুক্তির ৪/৫ দিন আগে সিনেমাটি না দেখার আহ্বান জানিয়ে পোস্টারে সয়লাব হয়ে গেছে ঢাকা শহর।

না দেখার আহ্বান জানিয়েছেন পরিচালক জাকির হোসেন রাজু স্বয়ং। নিজের ছবি সম্বলিত পোস্টারে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক এবং রাজনৈতিক কর্মীরা এই ছবি দেখবেন না।’

সিনেমাটির শুটিং চলাকালে দু’বার পরিচালক-প্রযোজকদের নিয়ে সালিশ বসেছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। তখন সমিতির চাপে পড়ে জাকির হোসেন রাজু সমঝোতায় যান। কিন্তু এ পোস্টার প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে তাহলে রাজু কি মনের ক্ষোভ মেটাচ্ছেন? নাকি সিনেমা হিট করানোর জন্য পরিচালক-প্রযোজকের পরিকল্পিত প্রচারণা?

রাজু পোস্টারটি নিজে করেছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ পোস্টারটি কে কীভাবে দেখলো সেটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি তো কাউকে বলতে পারি না এভাবে না এভাবে দেখুন।’

কেন আপনি নির্দিষ্ট শ্রেণিকে সিনেমাটি দেখতে বারণ করছেন? ‘সব পরিচালক চায় তার ছবি সবাই দেখুক। বিশেষ কারণে দেখতে বারণ করেছি। কেন করেছি, কী কারণ রয়েছে তা এখনই প্রকাশ করবো না। ছবি মুক্তির পর প্রয়োজনে জানাবো।’

‘ভালো থেকো’ মুক্তির পর ওই বিশেষ শ্রেণিকে দেখতে না করার কারণ দর্শকরা অনেকটা বুঝে যাবে বলে জানালেন। তবে ওই শ্রেণি কিংবা প্রযোজকের প্রতি কোন ক্ষোভ থেকে কাজটি করেননি বলেও দাবি রাজুর।

যাদের দেখতে বারণ করেছেন তারা কি কথা রাখবে? ‘আমি বারণ করেছি, দেখি তারা কথা শোনে কি-না।’

প্রযোজক নিজের মতো করে সিনেমাটির প্রচারণা চালাচ্ছেন জানিয়ে রাজু বলেন, ‘তাদের সাথে প্রথম থেকেই অনেক কিছুতে আমার মিল হচ্ছে না।’

অপর দিকে, ‘ভালো থেকো’র প্রযোজক জাহিদ হাসান অভি এমন পোস্টার সম্পর্কে বলেন, ‘আমি নিজেও অবগত হয়েছি জাকির হোসেন রাজু স্যার নিজেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে মূল কারণ আমি নিজেও জানি না।’

কারণটা পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছেন? উত্তরে অভি বলেন, ‘হ্যাঁ জানতে চেয়েছি, কিন্তু তিনি বলেননি।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাজু স্যার অনেক জ্ঞানী মানুষ। কী উদ্দেশে করেছেন তা জানি না। তবে উনাকে যতটুকু চিনি উনি হয়ত কিছুটা ক্ষোভের কারণেই করেছেন।’

সেই ক্ষোভটা কিসের? ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র এবং রাজনীতিবিদরা সবাই সবার জায়গা থেকে নিজ কাজগুলো ঠিকভাবে করতো তাহলে হয়ত আমাদের দেশ আরো ভালো জায়গায় থাকতো।’

আজকের বাজার: সালি / ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮