ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ফিরছে সরকার

রেন্টাল বা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন থেকে সরে আসছে সরকার। আগামী বছরে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ কালে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীলতা, আগামী ২০১৮ সালে যখন বিদ্যুৎ সরবরাহে একটি স্বস্তির অবস্থান সৃষ্টি হবে, তখন থেকেই হ্রাসকরণের কার্যক্রম শুরু হবে।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়াতে রেন্টালের দিকে ঝোঁকে সরকার। দেশের মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ রেন্টাল থেকে এলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট খরচের প্রায় অর্ধেক অর্থ সরকারকে গুনতে হচ্ছে তা কিনতে।

রেন্টাল চালু রাখার মধ্যেই বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে মনোযোগী হয় সরকার, যার মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ আমদানিও করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে রেন্টালে নির্ভরতা কমানোর কথা বললেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ১১ হাজার ২১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিরিক্ত ১১ হাজার ১২৪ ক্ষমতার ৪২টি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি মহা পরিকল্পনার আওতায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে রামপাল, মাতারবাড়ি, পটুয়াখালীর পায়রায় এবং বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের আর্থিক সহায়তায় মহেশখালীতে ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১ জুন ২০১৭