ভিয়েতনাম-কাতার ফেরত ৮৩ জনকে মুক্তি দিতে হাইকোর্টের রুল

ভিয়েতনাম ও কাতার থেকে দেশে ফেরত আসা মোট ৮৩ জন শ্রমিককে কেন মুক্তি দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

তাদের মুক্তির দাবিতে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট সচিব, আইন সচিব, আইজিপি ও আইজি পিজনস ও তুরাগ থানার ওসিকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ জন এবং কাতার ফেরত দুইজনসহ মোট ৮৩ জন শ্রমিকের মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান।

দেশে ফেরার পর রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ জন এবং কাতার ফেরত দুইজনসহ মোট ৮৩ জন শ্রমিককে ফৌজদারি কাযবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় তুরাগ থানা পুলিশ।

তুরাগ থানার ওসি নূরুল মোত্তাকীন ওইদিন বলেছিলেন, এসব প্রবাসী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে গিয়ে অপরাধে জড়িয়েছিলেন। সে জন্য সেখানে তারা গ্রেপ্তার হন। করোনার কারণে তাদের বাংলাদেশে আটক অবস্থায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এ জন্য চাইলেই পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে পারে না।

পরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান জানান, তাদের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। সে দেশের সরকারের কাছ থেকে ক্ষমা পেয়ে তারা দেশে ফিরেছেন। তাদের কোনো চুক্তির আওতায়ও আনা হয়নি। ফলে তাদেরকে আটক রাখাটা বেআইনি হয়েছে। এ কারণে রিট আবেদনটি করা হয়েছিল। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।