ভুয়া নিবন্ধন সনদে চাকরি: শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জাল ও ভুয়া নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি করায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ(এনটিআরসিএ)।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০১১ সালের ১ আগস্ট ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মোছা. শাহিদা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক(সমাজ বিজ্ঞান)পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগকৃত শিক্ষকের স্নাতক, বিএড ও শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল ও ভুয়ার বিষয়টি গোপন করে এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ২০১২ সালে এমপিও ভুক্ত করা হয়।

এব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি আকতার হোসেন গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য আবেদন করেন। গত ২০ জানুয়ারি এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়, মোছা. শাহিদা খাতুন, পিতা- মো. এন্তাজ আলী মন্ডল, রোল-৩০৭১১৫৪৭, রেজিস্ট্রেশন ও সন ৯০০৩৩৮৭৯/২০০৯, পরীক্ষা নং- ৫ম, রেজিস্ট্রি পরীক্ষা-২০০৯ সহকারী শিক্ষক, সমাজ বিজ্ঞানের নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয়। উত্তীর্ণ রোল নম্বরটি অন্য ব্যক্তির(মোছা. সুলতানা খাতুন, পিতা- রবিউল ইসলামের)। শুধু তাই নয়, পত্রে উক্ত জাল ও ভুয়া সনদধারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে মামলা দায়ের পূর্বক অত্র অফিসকে জানাতে বলা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে, স্নাতক ও বিএড সার্টিফিকেটও জাল দাবি করা হয়েছে। যা দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আকতার হোসেন এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগপত্র পাননি বলে জানান। এছাড়া ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)ইমতিয়াজ কবির এ ধরনের কোনও চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন। এদিকে, এ বিষয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান