ভূ গর্ভস্থ পানির স্তর ৩-১০ মিটার নিচে নেমে গেছে

ভূ- গর্ভস্থ পানির উপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে ইতোমধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩-১০মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

১১ জুলাই মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. আব্দুল মতিনের (মৌলভীবাজার-২) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সুপেয় পানি ও কৃষিকাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে ইতোমধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার থেকে ১০মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে।এরফলে শুস্ক মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না।’

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫কোটি টাকা ব্যয়ে একটিপ্রকল্প গ্রহণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৮০৯টি পুকুর পুনঃখনন করা হবে। এ ছাড়া পল্লী অঞ্চলে পানি সরবারাহ প্রকল্পের আওতায় ১৪৩টি পুকুর পুনঃখনন ও ২০০টি পুকুর নতুন ভাবে খনন করা হবে।’

এ সকল পুকুর পুনঃখনন করে পানি পন্ড স্যান্ড ফিল্টার পদ্ধতিতে সরবরাহের মাধ্যমে সকল জেলায় ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভর্শীলতা কমিয়ে ভূ- উপস্থ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে বলেও দাবি করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৭ ভাগ মানুষ বিশুদ্ধ পানির সুবিধা আওতাভুক্ত জানিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, ‘বাকি ১৩ ভাগ মানুষ দূরবর্তী অনান্য নিরাপদ পানির উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার সকলের জন্য সুপেয় পানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১৬শ কোটি টাকা ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় চারটি গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকলগুলোর আওতায় প্রায় ১ লাখ পানির উৎস স্থাপন করা হবে।’

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১১ জুলাই ২০১৭