ভোটের দিন ইন্টারনেটের গতি কামানোর প্রস্তাব

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।

তবে ভোটের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানো বা বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও বিকেল ৪টার পর ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

এদিন সকালে নির্বাচন কমিশনের ইটিআই ভবনে সফটওয়্যার সংক্রান্ত ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (ইএমএস), ক্যানডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (সিআইএমএস) এবং রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (আরএমএস) প্রশিক্ষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছিল। তারা আমাদের বলেছেন, ভোটের দিন ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিতে। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিলে আপনাদের কি কোনো অসুবিধা হবে?’

প্রশিক্ষণার্থীরা অসুবিধা হবে বলে সমস্বরে জানালে ইসি সচিব বলেন, ‘আপনারা তো রেজাল্ট পাঠাবেন ৫টার পর থেকে। যদি ৫ টার পর থেকেই ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে তো সমস্যা নেই। তাহলে আমরা চিন্তাভাবনা করে দেখব। অর্থাৎ, বিকেল ৪টার পর ফুল স্পিডে ইন্টারনেট থাকলে আপনারা ওকে।’

সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৩০০ আসনে নির্বাচন করা বিশাল ব্যাপার।’

ইটিআই’র পরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

আজকের বাজার/এমএইচ