ভোলার লালমোহন পৌরসভা নির্বাচন আগামীকাল

জেলার লালমোহন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন আগামীকাল ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র ২ জন মেয়র প্রার্থীসহ ৪৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ১২টি কেন্দ্রের ৫৯ টি কক্ষে ১৯ হাজার ১০০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এর মধ্যে ৯ হাজার ৭০৩ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ৩৯৭ জন নারী ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে সার্বিক আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া প্রত্যেকটি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: আলা উদ্দিন আল মামুন বাসস’কে জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচনের দিন পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রে মোট ১২ জন প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫৯ জন, পুলিং অফিসার ১১৮ জন মাঠে কাজ করবেন। একইসাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬ জন ও জুডিশয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ১ জন।

তিনি আরো জানান, যেহেতু ভোলায় এ প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। তাই ভোটারদের ভোট প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ভোটের দিন প্রত্যেক কেন্দ্রে ২ জন করে ইভিএম অপারেটর রাখা হবে। যাতে কোন সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক তা সমাধান করা যায়।

নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের (নৌকা) এমদাদুল ইসলাম তুহিন ও বিএনপি’র (ধানের শীষ) সোহেল মো: আজীজ প্রতিদ্বিন্দ্বতা করছেন। একইসাথে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন ও ১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মাঠে রয়েছেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মো: কায়সার বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম ও কেন্দ্র ভিত্তিক পুলিশ কাজ করবে। একইসাথে ২ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ২টি টিম নিয়মিত টহলে নিয়জিত থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৮ জন আনসার ও ১০জন করে পুলিশ প্রন্তুত থাকবে।

এসপি বলেন, ২, ৪ ও ১১ এই তিনটি কেন্দ্রকে পুলিশের পক্ষ থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র বাড়তি নজরদারীতে রাখা হবে। সব ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে লালমোহন পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়। পরে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এটি লালমোহন পৌরসভার চতুর্থ নির্বাচন।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান