ভোলার বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসন থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
কমিটির প্রধান ভোলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুসুদ আলম সিদ্দিকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত চারজনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল নিহতদের বাবা-মায়ের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
এর আগে মুকুল বোরহানউদ্দিনে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।
পুরো ঘটনাটিকে নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ চলছে এবং যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে উল্লে করেন তিনি।
মুকুল দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে সাংবাদ মাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এক যুবকের শাস্তির দাবিকে কেন্দ্র করে ২০ অক্টোবর বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও আন্দোলনরত স্থানীয়দের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু ও প্রায় ২০০ জন আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে আল্লাহ ও মহানবীকে কটূক্তি করে বিভিন্ন জনের কাছে মেসেজ পাঠানো হয়। এসবের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেলে এলাকায় নিন্দা ও বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে বিপ্লব ১৯ অক্টোবর থানায় এসে দাবি করেন যে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি সাধারণ ডায়েরিও করেন।